বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিহতের বড় ভাই রতন চৌধুরী রাজু বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে ১৩ মার্চ সাড়ে ১১ টায় পুরাতন কসবা মিশন পাড়া বিমান অফিস মসজিদের সামনে শহীদ মশিউর রহমান সড়কের গ্যাস বিপনী দোকানের সামনে নয়ন চৌধুরী সাজুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে করে আহত করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যশোর শহরের মিশন পাড়ার হাফিজ আহম্মেদের ছেলে ছাল ছাবিল আহম্মেদ জিসান। অন্য আসামিরা হচ্ছে- সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের খায়রুলের ছেলে পাভেল, শহরের মিশন পাড়ার ছোট খোকনের ছেলে রাব্বি ও মিশন পাড়ার খোকনের ছেলে রনিসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।
জিসানকে দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় এলোপাথাড়ি মারপিটের শিকার হয়ে নয়ন চৌধুরী সাজু নিহত হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ১৩ মার্চ নিহতের পিতা জয়নাল চৌধুরী স্বপনের মোবাইলে ফোন করে জিসান ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার দুই ছেলের অবস্থা কি হয় বলে হুমকি দেয় জিসান।
ওসি আরও জানান, সন্ধ্যার পর তার দুই ছেলেকে তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যেতে বলেন তিনি। রাতে রতনের মাইগ্রেনের ব্যথার ওষুধ না থাকায় ছোট ভাই সাজু ওষুধ আনতে গেলে ঘটনাস্থলে জিসান ও তার সহযোগীরা সাজুকে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে আঘাত করে। এ সময় বড় ভাই রতন গেলে তাকেও আঘাত করা হয়। পরের দিন ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাজুর অবস্থার অবনতি দেখা দিলে দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজু মারা যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার এসআই আমিরুজ্জামান। পুলিশ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি ও অজ্ঞাতনামা আসামিক কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি।